
Friday, January 15, 2016
পাঠ প্রতিক্রিয়া
শান্তনু বেজ

কবি শীতকাল নিয়ে ঘুরেছে "ডাম্পারের ড্রাইভার " থেকে
"সোনালী স্বপ্নের হাইহিল " পর্যন্ত। এক মধ্যবিত্তহীন, শ্রেণীমুক্ত ঋতু ভ্রমণ।
কখনো, দাঁড়িয়ে পড়েছে স্থির জলের কাছে "বেপরোয়া " মাপতে। সবশেষে,
চমকে গেছি "কাউকে বোলো না তুমি একা " লাইনে এসে।
হুমমমম, আমার আকস্মিকতাতেই আনন্দ আসে। আসলে কবিতার সঙ্গে মুখোমুখিটাই
কিছু এরকম। তাই, গোটা বই জুড়ে বেশ ঠোক্কর খেয়ে পায়চারী করেছি। যে ঠোক্করে পরিযায়ী ঠোঁট
ছিল। সব কবিতাই ভালো লাগবে না। লাগা উচিতও নয়। তবুও এটা আমার একটা
ভালোলাগার কাব্যগ্রন্থ।
কাব্যগ্রন্থ। অনেক গুলো কবিতার শরীর জুড়ে একটা আস্ত "গ্রাম
",যারা প্রত্যেকে আত্মায় স্বতন্ত্র কিন্তু পারস্পরিক মেলবন্ধনে অচ্যুত। সেই দিক
থেকে এই বই বেশ সমার্থক। আমি পাঠক -মন নিয়েই কিছু ভালো-মন্দ পেতে চাই। না,
কোন বিদগ্ধ বুদ্ধির ভিত্তি নেই আমার কথায়,
আমার বেশ ভালোলাগায়...
আসলে, আমাদের প্রত্যেকেরই একটা
নিজস্ব " দৈনন্দিন জীবন যাপন " থাকে। কবি ঠিক এই "দৈনন্দিন ",
"জীবন ", "যাপন "--- শব্দেগুলোর এক রৈখিক উচ্চারণে না থেমে চলে গ্যাছে তাদের মধ্যবর্তী
শূন্যস্থানে। একটা নিপুণ মননের খনন কার্যক্রম নিয়ে। প্রতিটি কবিতায় যাপনের স্বাভাবিকত্বের
মধ্যেই ফসকানো কিছু কথার একটা চেনা আলাপন এনে দেয়। কল্পনাকে নিয়ে বেশি মাতামাতি নেই।
নেই ভারী শব্দের ভর্তুকি। বেশ, সাবলীলভাবে বলা হয়েছে যা বলতে চেয়েছে। ভান নেই বেশী।
তবে, বেশিরভাগ কবিতাই ছোট কবিতা বলা চলে। যেটা একটু কম প্রাপ্তি আমার কাছে। তার মানে,
এই নয় কবিতা গুলো বাড়ানো যেত। আসলে, এটা আমার ইচ্ছা।
যাইহোক, বইটি পড়লে একটু সংক্রমণ হতে হয়। রোগের নাম "ফিরে দেখো পায়ের
চিহ্ন "। ভাবছেন, বেশ বিজ্ঞাপন সুলভ শব্দ সাজিয়ে দিলাম। ঠিকই, এটা ঐ ছদ্ম-বিজ্ঞাপন
জাতীয় বলতে পারেন। তবে এটা আমার একান্ত পাঠ প্রতিক্রিয়া। সমার্থক শব্দ ছাড়াই ...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
এর থেকে ভালো কিছু আর কী লেখা যাবে ! ঠিকই হয়েছে । কবিতা তো সর্বদা অধরাই । এই অধরাকে ধারণ করেই জীবন বেগের বিনুনি । কবিকে শুভেচ্ছা জানাই ।
ReplyDelete