Friday, January 15, 2016
শীত
খনির সোনালী আলোর পাশে
কালো রঙের ছায়া – জারে
কেঁপে কেঁপে ওঠে চাষনালার মানুষী
দেয়ালে প্রনামীর লালা, ঠাণ্ডা মাকড়সার –
বিছানায়, পরস্পর পা ছুঁয়ে, ভুল বোঝে
আনত বিগ্রহ
রোয়াকের নিভৃত গর্ভে
লুব্ধকের অনিশ্চিৎ নড়াচড়া – মরে গিয়েও
নাকি আলো জ্বালে অন্যান্য তারারা
নিজের চোখের মণি আঁকতে ভুল হয়
পটুয়ার – ঘুমের ভেতর গ্রামে ফেরে
ছেঁড়া কাঁথা, অনন্ত সৎকারগাথা
শীত সেভাবে এলো না ব’লে
এসব যে হয় নি
তা তো না ......
সরীসৃপ
ভয় হয়, তবু জানি সময়ের নির্মাণে
খসে গেলেও ঠিকই জুটে যাবে
পিছুটান, ইতস্তত
এত ভুলচুক, এত কথা ছোঁড়ার নিবিড় শাব্দিক
তবু তো হাঁটছি উলম্ব গেরস্থালি, অনায়াস
বেগতিকে সটান মাটিতে, বান্ধবী একাকী কাঁদে
বলে ভালো নেই
আসবাবে বিস্ময়ে লুকাই, বাজারে বরফের মাছ,
নিভৃতে প্রতীক্ষিত মার্জার
ঠকে গেছ, ব’লে হরদম বেফাঁস নিঃশ্বাস
আমি দেয়ালঘড়ির মতো সায় দিই নিরাপদ উঁচুতে
তারপর প্রকৃত আলো না পেয়ে
ওপাশ ফিরে শুয়ে থাকো তুমি
আর আমি, গিলে নিই,
তোমায়, সন্তর্পণে
উৎসব শেষ হলে
উৎসব শেষ হলে বারান্দা দিয়ে হেঁটে যায় কেউ
কাঠামোর প্রতীক্ষার ওপর ব’সে
মায়াবী বেড়াল – ব্যক্তিগত ডাহুকের খোঁজে
অনিমিখ উপরে তাকায় ...
গল্পচ্ছলে বয়সী অনূঢ়া অপাঙ্গে দেখে
এয়োতির মণিবন্ধের দিকে
আলনা, পঞ্জিকা, স্তনাবরণ – কাষ্ঠল দোলে
উৎসব শেষ হলে ...
পুরাতন কফে জমে জায়সুদী ঘ্রাণ - উৎসব শেষ
হলে
ট্রাফিকে, ঘড়ঘড়ে গলায় –
দুর্গা জেগে ওঠে –
কাঁটা ধান রেখে আসে কৃষকের ঘরে ...
ইতিউতি যা কিছু অলঙ্কার, পড়ে পাওয়া কড়ি,
এমনকি বিষ্ঠাও – কুড়োতে
গ্রীবা দীর্ঘ থেকে, উৎসব শেষ হলে,
দীর্ঘতর হয়, ভিখিরি
যুবতীর …
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
উৎসব লা জবাব। খনিও খন্ডন করলো শতাব্দীর রান্নাঘর ..
ReplyDelete