অক্ষরেরা আমাকে ফুঁ দিয়েছিল, দুঃখ মেশানো
Friday, January 15, 2016
রিভিউ
এক
পশলা জ্যোৎস্না রাত্রিকে বাজিয়ে তুলছে
আকাশ
গান হচ্ছে, চোখের নিচের খানিকটা টলমল
হাঁসের
ডানায় জলের মতো পরিবাহিত এবং অসহায়
৫৩টা
বর্ষাকাল নিয়ে বাবার ব্যর্থতা বাড়ি ফিরছে
তখনও
পার্শ্বডাঙ্গা পুকুরের কচুরিপানারা বামফ্রন্ট হয়নি
আর
আমার ইয়েটাও তখন ছোট
রাস্তায়
পা রাখার মতো একটাও গোধূলি নেই
কান্নাকাটি
বারণ, কিচিরমিচির বারণ, ছোট বড় অফার বারণ
রাগ-
দুঃখ- প্রতিক্রিয়া-পরিত্যাগ-অতিক্রম সব
কুয়াশা
ব্যথিত স্পর্ধা ,
জাঙ্গিয়া এবং হরমোন সামলাচ্ছি একা
ডেকে
ওঠা তত্ত্ব,
সন্দেহ প্রবণ আয়না, স্বার্থ ও সোমবার
ক্রমশ
রোগা এক শিল্পের সত্যিগুলি বাবাকে
যুগপৎ
আমাকে শ্রাবণ করেছিল
ধরা
যাক মেনশেভিক গন্ধে শান্ত দুপুর বিবৃত ও ফুটে উঠেছিল...
পরিবাহিত
অক্ষরেরা আমাকে ফুঁ দিয়েছিল, দুঃখ মেশানো
ব্যর্থতার
লাবণ্যে সেসব আন্তরিক পরাজয়
পুবদিকের
সাঁকোর ওপর কুয়াশার মতো এক কোণে
দরিদ্র
ম্লান সব অক্ষরেরা,
হিমলাগা , দীর্ঘ রোদের
হলুদ
মাখা, রাগ ঘৃণা টপকানো, সেইসব অক্ষর
অসুখের
বাঁদিকে আস্তে ঘুমিয়ে পড়া... সংশ্লিষ্ট আত্মার ভেতর
সেইসব
স্নায়ু খুলে রাখা বানান। হেমন্তের উদাসীন
সন্ধ্যার
ছেঁড়া খোঁড়া, গ্রামীণ নিমগাছের অভিধান
সেইসব
উর্দি পরা তরঙ্গ হয়তো তখনও পেয়েছিল দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ...
বিজলীপ্রভা
ধুলো শেখাতে চাইছিলাম ঢলঢলে ব্যাখ্যার স্মৃতি
আর
ভিন্ন বেদনা নড়াচড়া করতে করতে জ্যোৎস্না পড়েছিল
এক
হাজার বছরের সাদার ওপর পড়ামাত্রই চমকে উঠেছিল ধ্বনির ঈশ্বর
জল
ও আগুনের মাংস গাছে গাছে
কম
কথা নয় সেইসব সেমিকোলনের ইলেকট্রন...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
৫৩টা বর্ষায় একার হরমোন সামলানোর পর বেজে উঠছে ডেকে ওঠার তত্ত্ব। উফ্, এটা পোষ্টমর্টেম না রিভিউ, দারুণ
ReplyDeleteAprbo
ReplyDeleteApurbo
Deleteকবিতা দুটি ভাষাহীন করে......
ReplyDeleteঅসাধারন !!!!
Alomoy alo
ReplyDeleteAlomoy alo
ReplyDeleteকচুরিপানার বামফ্রন্ট না হয়ে ওঠা, ইয়েটা তখনো ছোটো , জাঙ্গিয়া ও হরমোন সামলানো , ডেকে ওঠা তত্ত্ব , রোগা এক শিল্পের যুগপৎ শ্রাবণ করার ব্যাপারগুলি অসাধারণ , ভাবায় !!
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল
ReplyDeleteবেশ ভাল লাগা জানালাম--
ReplyDeleteঅসাধারণ দুটি কবিতা পড়লাম । কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।
ReplyDelete