Friday, January 15, 2016
ঢিল বাঁধা গাছ
বাঁচার আগে দুবার মরে যেতে হয়
অন্তত একবার মরা চাই কমপক্ষে
স্মৃতি যদি তারপরেও লেজ ঝোলায়
ফিঙের মত ইলেকট্রিকের তারে বসে দোলে
নিদেনপক্ষে একটা ঢিল ছোঁড়াই নিয়ম
ঢিলে বাঁধা যত মনস্কামনা ঝুলে আছে লাল সুতোয়
ঢিল ছুঁড়ে দিলে গিঁট খুলে যেতে পারে
অথবা জড়িয়ে যেতে পারে আরও এক পাক
কড়া পাকের সন্দেশ গিলে জল এক ঢোঁক হোক
এক ঢোঁক জল খেলে নদী কমে না, বাড়েও না
তৃষ্ণা নদীর নাম না
তৃষ্ণা কোন এক মেয়ের নামও না
তৃষ্ণার লিঙ্গ নেই
তৃষ্ণা দিয়ে জল ধুতে গেলে-
তৃষ্ণা দিয়ে মজবুত আঁচড় কাটলে-
তৃষ্ণার জামা পরলে-
তবুও তৃষ্ণাকে মেটানো গেল না
মরে যাওয়ার জামা শ্মশানে ফেলে এসেছ
এখন তোমার গায়ে নতুন জামা
তার নাম তৃষ্ণা
তুমি তৃষ্ণাকে চেন না
ঢিল বাঁধা লাল সুতো কেমন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে
গাছটাকে
ডাল ভর্তি ঢিল, পাতা ভর্তি সুতোর গিঁটের মধ্যে
তৃষ্ণাকে চিনতে পারছ?
ওখানে তৃষ্ণা নেই
তৃষ্ণার বাড়ি
ভুলভুলাইয়ায়
গলির পর গলি, অন্ধ গলি, কানা গলি-
কোথাও পৌঁছতে পারছ না
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মুহূর্তে
গাইডের টর্চ পড়ল তোমার চোখে
সোজা পথে খোলা বারান্দায় এসে গেলে
তৃষ্ণাকে চিনলে না বলে উবে গেল অভিমানে
মান ভাঙাবে রাইয়ের?
সে মান যদি না ভাঙে
টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দিও অলিন্দ নিলয়
ধমনী নিংড়ে রক্তাক্ত কর পথ
তারপর আবার জন্ম নিও
এ জন্মের পথে সেই ঢিল বাঁধা গাছ এখনও দাঁড়িয়ে
সেই লাল সুতো, সেই লাল রক্ত, সেই অচেনা তৃষ্ণা-
পথ হারাবে?
আকাশের গায়ে কোন পথ নেই
দিগন্তরেখা জুড়ে লেখা থাকে ঠিকানা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অনন্য জীবনদর্শন। অভিনন্দন কবি।
ReplyDelete