একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শব-ব্যবচ্ছেদ
Friday, January 15, 2016
সাশা অরোরা আখতার-এর কবিতা
(পাকিস্তান)
পাঠ ও অনুবাদ : অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়
শূন্য দশকের অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ কবি সাশা অরোরা আখতার-এর জন্ম
১৯৭৬-এ, পাকিস্তানে। পড়াশোনা পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। লেখালিখি করেন
ইংরেজি ভাষায়। সাশা বর্তমানে লণ্ডন এবং পাকিস্তানে থাকেন। কবিতার
বই ‘The Grimoire of Grimalkin’ (২০০৭)। নিজের কাজ সম্পর্কে সাশা-র
মন্তব্য— “I am constantly engaged in a mystical world full of symbolism and
imagery. I am concerned with the transcendental, with the hidden element to
life... This is a Sufi idea, but perhaps it is why the quote from Huxley
has always stayed with me: ‘There are things known and things
unknown, and in between there are doors.’” ১৯৯৯-এ সাশা বেনিংটন কলেজ
থেকে লিবারেল আর্টসে স্নাতক। পড়েছেন ফটোগ্রাফি, ফিল্মমেকিং এবং
মাল্টি-মিডিয়া ইন্স্টলেশন আর্ট নিয়ে। আমহার্স্টের ম্যাসাচুসেট্স্ বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে ২০০৩-এ ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এ ফেলোশিপ পেয়েছেন। যেখানে জেমস্ টেট, সাবিনা মারে,
পিটার গিজ্জি-র সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। নির্মাণ করেছেন আনা-এল-হক (২০০২), দ্য
সী এ্যাণ্ড মেডুসা (২০০৬) চলচ্চিত্র। সাশার ফটোগ্রাফি প্রদর্শিত হয়েছে
সানফ্রান্সিস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অব্ উওমেন-এ এবং করাচিতে। বিভিন্ন শিল্প মাধ্যম এবং অন্যান্য
সংস্কৃতি যেমন সাশা-র অনুপ্রেরণার উৎসস্থল, তেমনিই শব্দ (সাউণ্ড) এবং
সঙ্গীতপ্রবণতাও। আত্মপ্রত্যয় সাশার
লেখায় প্রচণ্ডরকম ভাবে স্পষ্ট। ২০১২-তে নিমো আদান-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাশা
বলছেন, ‘Writers
are constantly tortured by micro regrets and woes related to their writing if
you ask me. But in a larger sense, “oh I wish I’d done this”, no I’ve
always done everything I could for my writing.’
একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শব-ব্যবচ্ছেদ
টেবিলে এ’ কোন্ মিথ্যের রেশম গোছা/টান বোনা
হয়েছে
সারারাত এবং পরদিন
সারাটা সকাল তোমার চোখে
কী সেই ছোট্টতম জিনিস
লোলচর্ম এক গলি
সেখানে বর্গীকরণ সূত্র শুনছ
পণ্ডিতদের জন্য সেখানে
ধাতব পুলওভার
কোনও শূন্য স্থান নেই
বাস-স্টপে এক শিখের
পাশে ব’সে
চিরস্থায়ী নাক টানা
প্রতিশোধ নিতে নিতে
কুঁচকে দিচ্ছে আমার দেওয়াল
আমার ঘুম-ভাঙানিয়ায়
এনে রাখছে এক হৈ-হট্টগোলের কার্নিভাল
একজন মানুষের চোয়াল প’ড়ে যাচ্ছে
মিশে যাচ্ছে আরেকজনের প্রকট ও নিভন্ত
আংরায়
ঢাকনা খোলার রিং অবদি
পৌঁছে যাচ্ছে আঙুল
কাচের চিতার সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের
প্রার্থনা
যখন সেদ্ধ মটরদানা প’ড়ে যাচ্ছে তার পকেট থেকে
এবং ঢেকে দিচ্ছে
হাইওয়েকে সোজা
যদ্দুর মন খোলা যায়
এ’ কোন্ মুলোর পিঠে চেপে
কাচস্বচ্ছ মিষ্টি দইয়ের নদী পেরুনো
নদীর রিবন
এ-কে খোদাই করো গান,
হাড় হও
যেভাবে কাঁকর-কুচি সত্য হয়
(রচনাকাল – ২০০৫)
ভাষা
আমার অভিধানগুলো সব হারিয়ে ফেলেছি রণ্ডেল
এবং এই বহুমুখী ফোঁড়া
অবনত ক’রে রাখছে আমার ডাকিনীবিদ্যা
আমি দেখছি সমতলে নেমে
তুমি
শিকার করছ বাইসন
ঘ’ষে ঘ’ষে তুলছ বালি
সুপরিকল্পিত বাগ্মিতায়
গোরস্থানের অপদেবতা,
গিরগিটি
তড়িৎপ্রবাহ চালিয়ে ধ্বংস করছে আমার
স্মৃতি
স্বেচ্ছাচারী, তার নিজের একটি মন
বিভ্রান্ত হয়ে ক্ষেত থেকে তুলে আনছে
বাঁধাকপি, ফসল
স্বপ্নদোষে তার বুকে
ভর দিয়ে আঁকাবাঁকা চলা
দেখে ফেলছে কুয়াশা এবং শিস দিচ্ছে, দিয়েই
যাচ্ছে
২.
মসৃণ বক্তৃতার আশপাশ থেকে
বোকা শব্দগুলো তুলে
টস্ করছ তুমি। যেন শেক্সপীয়ার বেঁচে
আছেন
আর তোমার জন্য কলম তুলে নিয়েছেন তিনি।
পাদ্রী, শাদা ক্রীমের
এই ইংরেজি লোগো থেকে
আমরা তো পালাতে পারব না। যেমন লাইব্রেরীর বই
রিনিউ করে যাচ্ছি রোজ।
তোমার জলদস্যুর ভাষাকে
তোমার নর্ডিক আস্থাকে
তোমার সংস্কৃত উৎসব
সালাম সালাম সালাম
(রচনাকাল – ২০১২)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
প্রথম টা দুর্দান্ত
ReplyDelete